ভারতে ১ লক্ষ ধানের বৈচিত্র গায়েব! ঘুরে দাঁড়াচ্ছেন কৃষকরা
৬০-এর দশকে ভারতে সবুজ বিপ্লব আনা হলো। আমেরিকার রকফেলার এবং ফোর্ড ফাউন্ডেশন হাতে হাত মিলিয়ে ভারতে ধানের বীজ আমদানি করানো শুরু করে। যদিও তার আগে ভারতে ১ লক্ষের উপর ধানের বীজের বৈচিত্র ছিল। আর সেই বীজের মধ্যে কোনটা ছিল বন্যার সময়ের উপযোগী, কোনটা ছিল খরার সময়ে চাষের উপযোগী আবার কোনটা ছিল সব ধরণের আবহাওয়ায় উপযোগী। আর এই সব ধানের পুষ্টি, খাদ্যগুন ছিল প্রশ্নাতীত।
কিন্তু সবুজ বিপ্লবে ভারতের এই ১ লক্ষের উপর ধানের বৈচিত্র নষ্ট হলো কারণ হাইব্রিড ধানের বীজ আমদানি শুরু হলো। শুরু হলো মনো কালচার। আর তা হলো ভারতের এগ্রি কালচারাল ইনস্টিটুটের হাত ধরে। ফলে ধানের বৈচিত্র কমতে কমতে তা কয়েকটি ধানে এসে দাঁড়ালো। কারণ আমদানি করা কয়েকটি ধানের বীজ-ই চাষ করানো হলো কৃষকদের দিয়ে।
তার উপর বর্ষণ হলো রাসায়নিক সার আর বিষযুক্ত কীটনাশকের বোমা। যার ব্যবসা প্রায় পুরোটাই নামমাত্র কয়েকটি বিদেশী কমানোর হাতে। তাই সবুজ বিপ্লবের পিছনে আগ্রো বিসনেস ইন্ডাস্ট্রির যেমন হাত ছিল তেমনই ছিল কর্পোরেট ফুড ইন্ডাস্ট্রি-র হাত। বৈচিত্র নষ্ট করে দিয়ে মনো কালচার শুরু করা যেখানে কৃষক নয় কৃষিতে নিয়ন্ত্রণ থাকবে কর্পোরেটের।
কিন্তু কয়েক বছরে কৃষকরা বুঝতে শুরু করলেন সুস্বাদু ,পুষ্টিকর আর খাদ্যগুন সম্পন্ন ধানের বৈচিত্র হারাচ্ছেন তাঁরা। তাই কেউ কেউ উদ্যোগ নিলেন ধানের এই বৈচিত্র ফিরিয়ে আনার রাসায়নিক আর বিষযুক্ত কীটনাশক বর্জন করে অর্গানিক পদ্ধতিতে কৃষিকাজকে ফেরানো। আর একটু একটু করে কৃষিকদের এই লড়াই বড়ো হতে শুরু করলো। কর্পোরেট এম্পায়ারদের বিরুদ্ধে লড়াই করা এই কৃষকদের কথা তুলে ধরতেই এম্পায়ার ডিয়ারিজ-এর এই পথ চলা।
পথেই আমরা দেখা পেলাম প্রদ্যুৎ এবং মৌসুমীর। পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতায় প্রদ্যুৎ মৌসুমীর ফার্ম। সেখানেই প্রদ্যুৎ মৌসুমী এখনো পর্যন্ত প্রায় ৪৫০ রকমের দেশি ধান সংরক্ষন করছেন যা কালো, লাল, সুস্বাদু, এবং নানারকম আবহাওয়ায় উপযোগী।
[Rice varieties in India]
—
REPUBLISHING TERMS:
All rights to this content are reserved with Empire Diaries. If you want to republish this content in any form, in part or in full, please contact us at writetoempirediaries@gmail.com.
এই প্রকাশিত প্রতিবেদনটির কপিরাইট রয়েছে। তাই এই বিষয়টি বা আমাদের যেকোনো প্রতিবেদন পুনঃপ্রকাশ করতে আমাদের লিখুন। আমাদের এই গবেষণাধর্মী সাংবাদিকতা সময়, পরিশ্রম, অর্থ এবং নিজেকে সম্পূর্ণভাবে নিয়োজিত করে তবেই সম্ভব। তাই আমাদের প্রতিবেদনটি বিনা অনুমতিতে ছাপবেন না। আমাদের ইমেইল করে জানান কোন বিষয় এবং কোন ভাষার প্রতিবেদন পুনঃপ্রকাশ করতে চান।
আমাদের ইমেইল: writetoempirediaries@gmail.com.
আমাদের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কটিতে ক্লিক করুন। https://cutt.ly/BT4TBBk
ইউটিউব-এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে যান, বেল আইকন দিতে ভুলবেন না যেন! https://www.youtube.com/c/EmpireDiaries
সরাসরি আপডেট পান : হোয়াটস্যাপ করুন ‘আপডেট’ ৯৮২১০৪৫৭৩৯ (9821045739) নম্বরে
ফলো এবং লাইক করতে ভুলবেন না, আমরা আছি
ফেসবুক: https://www.facebook.com/empirediaries
টুইটার : https://twitter.com/diaries_empire
টেলিগ্রাম: https://t.me/empirediaries
ইমেইল: writetoempirediaries@gmail.com
আরও দেখুন…